আনিসুর রহমান ঃ
উপকূলীয় টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পাতাখালি পয়েন্টের ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের ওপর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এর তা-বে ল-ভ- হয়ে যায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপকূল। নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় ৫০টির বেশি গ্রাম। বিধ্বস্ত হয় অর্ধ লক্ষাধিক ঘরবাড়ি। ভেসে যায় হাজার হাজার কোটি টাকা মৎস্য ও কৃষিসম্পদ। ভেঙে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ শে মে শুক্রবার সকাল ১০ টায় বিক্ষোভে অংশ নেয়া উপকূলবাসী- ভাসতে চাই না, বাঁচতে চাই। একবারই মরবো, বারবার নয়। আমাদের জীবনের কি কোন মূল্য নেই? জলবায়ু তহবিল কাদের জন্য? উপকূলের কান্না কি চিরদিনের? কর্তৃপক্ষ মরে গেছে, আমরা বেঁচে করবো কি? নিরাপদে বাঁচার, নাই কি আমার অধিকার? বাস্তভিটা ছেড়ে, ভাসানচরে যাবো না- ইত্যাদি প্লাকার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান। উপকূলের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ম্যানগ্রোভ স্টুডেন্ট সোসাইটির আয়োজনে এই কর্মসূচিতে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে উপকূলের সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ম্যানগ্রোভ স্টুডেন্ট সোসাইটির সভাপতি আরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শাহিন বিল্লাহ, তরিকুল ইসলাম, মুহতারাম বিল্লাহ, মুতাসিম বিল্লাহ, হাসানুল বান্না প্রমুখ। প্রতীকী লাশ হয়ে প্রতিবাদ জানান মাসুম বিল্লাহ, ইয়াসির আরাফাত, সালাউদ্দিন, মাহি ও সালাউদ্দিন জাফরী।
পূর্ববর্তী পোস্ট