নিজস্ব প্রতিবেদকঃ: সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর ইউনিয়নে অবৈধ ভাবে ভূগর্ভস্থ থেকে বালি উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় এলাকাবাসীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত কয়েক দিন আগে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুমন হোসেন মাহমুদপুর মৌজার লাবন্যবতী কাল থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভূগর্ভস্থ থেকে বালি উত্তোলন চেষ্টা কালে এলাকাবাসী বাঁধা প্রদান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার এক সহচর দিয়ে ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন সহ এলাকাবাসীর নামে মামলা করায় এই সুমন। তারই প্রতিবাদে ২০ আগস্ট ২০২২ তারিখ ঘটনা স্থলেই আলিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ রউফ, ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন সহ এলাকার কয়েক হাজার নারী পুরুষ মানববন্ধন করে এই সুমনের বিরুদ্ধে।
অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে যাহাতে বালি উত্তোলনের করতে না পারে এ জন্য এলাকাবাসির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্র জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার অন্তর্গত ৭নং আলিপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের গাংনিয়া গ্রামের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে মাহমুদপুর মৌজাধীন লাবন্যবতি খাল।
এই খাল দিয়ে প্রায় ১০০টি গ্রাম, ৫০টির বেশি হাওড় ও বিলের পানি নিষ্কাশন করা হয়। কিন্তু বিগত ১ আগষ্ট থেকে ভাড়ুখালি মাহমুদপুর এলাকার মোঃ আতিয়ার রহমান (ভুট্টো)’র ছেলে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুমন হোসেন এর নেতৃত্বে একটি অবৈধ বালি উত্তোলন কুচক্রিমহল এই লাবন্যবতি খালের বটতলা নামক স্থানে ড্রেজার মেশিন দ্বারা খালের তলদেশ থেকে বালি উত্তোলনের পায়তারা চালাচ্ছিল। কিন্তু এলাকার সচেতন মহল কোন অবস্থায় তাকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভূগর্ভস্থ থেকে বালি উত্তোলনে সুযোগ দেই নি । কারণ ভূগর্ভস্থ থেকে বালি উত্তোলন করলে আশেপাশের এলাকা অদুর ভবিষ্যতে ভূগর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই চিন্তা কে মাথায় রেখে বিষয়টি সমাধানের জন্য গ্রামের গন্য-মান্য ব্যক্তিবর্গ এবং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ মোশারফ হোসেন (নিউটন) এর মাধ্যমে গত ৯ আগষ্ট গাংনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে একটি গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করেন। উক্ত সালিশে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুমন হোসেন ঐ খাল থেকে বালি উত্তোলন করবে না বলে প্রতিশ্রতি দেয়। কিন্তু কয়েকদিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও উক্ত স্থান থেকে বালি উত্তোলনের সরঞ্জামাদি, ড্রেজার মেশিন কোন কিছুই অপসারণ না করে পুনরায় বালি উত্তোলনের কার্যক্রম চালু করে।
অপরদিকে এই বালি উত্তোলনের ব্যাপারে কেউ যেন মুখ খুলতে সাহস না পায় সেজন্য সুমনের কাছের লোক একটি কোম্পানির পরিচয়দান কারি ব্যক্তি আমিন শেখ কে দিয়ে এলাকাবাসীর নামে একটা মিথ্যা মামলা দায়ের করায়। সেই মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার বিকেলে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক লোকমান হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা তদন্তাধীন আছে। বালু উত্তোলনের বৈধতা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট