সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরায় ছেলের বউ কর্তৃক মিথ্যে সংবাদ সম্মলনে শশুরবাড়ির লোকজনদের
বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৃদ্ধ শশুর। মঙ্গলবার
সন্ধায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবাদ জানান,
পদ্মশাখরা গ্রামের এরশাদ আলী মৃধা ছেলে মোঃ মোশাররফ হোসেন।
লিখিত বক্ত্যবে তিনি বলেন, আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে আমার বড় ছেলে সাইফুল
ইসলাম ২০০২ সালে তার মামার সাহায্যে কুয়েতে যায় এবং ২০০৮ সালে ৩ মাসের
ছুটি নিয়ে দেশে এসে আবার কুয়েতে চলে যায়। ২০১১ সালে আবার বাংলাদেশে ফিরে
এসে দেবহাটা থানার চাঁদপুর গ্রামের শেখ রেজাউল ইসলামের মেয়ে ফারিহা
আক্তার রিপা’র সঙ্গে বিয়ে হয়। ছেলে বিদেশ যাওয়ার পর তার পিতার কুপরামর্শে
পিতার বাড়ীতে থাকত। কিন্তু বিয়ের সময় কথা ছিল বউমা যৌথ ফ্যামিলিতে
থাকবে। কিন্তু এই বিষয়টি বৌ তার পিতার কুমন্ত্রনায় অনেক দূর গড়িয়ে
সংসারটাকে ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে।
মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, গত রবিবার সাতক্ষীরার দেবহাটায় প্রয়াত
স্বামীর সম্পত্তির অংশ না দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া, মারপিট ও হুমকি
ধামকির বিষয়ে আমার ছেলের বৌ একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে
তার দেয়া বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যে, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য
প্রণোদিত। প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সে অভিযোগ করেছে, ২০১১ সালে
পদ্মশাখরা গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে
হয়। বিয়ের পর তার ঔরসে ২পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। আমার ছেলে বিগত ২০০২ সাল
থেকে কুয়েত প্রবাসী ছিলেন। সেখানে থাকাকালিন সময়ে সংসার পরিচালনার জন্য
যতটুকু দরকার ঠিক ততটুকু টাকা পাঠাতো। কিন্তু আমার বড় বউ যে কথা বলেছে
তা মোটেও ঠিক নয়। প্রকৃত ঘটনা হলো ২০১৯ সালে আমার বড় ছেলে সাইফুল দেশে
ফিরে আমার ৫ ছেলের নামে ৭ শতক জমি লিখে দেয়। তারপর ৩ মাসের ছুটি শেষে সে
আবার বিদেশে চলে যায় এবং ২০২০ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কুয়েতে
মৃত্যুবরণ করে। আমার ছেলের বৌ তার স্বামীর মৃত্যু নিয়েও মিথ্যা তথ্য
পরিবেশন করেছে। তার মেডিকেল রিপোর্ট আমাদের কাছে পৌঁছেছে। তার মৃতদেহটি
আমরা দেশে ফিরিয়ে আনতে পারিনি। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, আমার ছেলের
মৃত্যুর পর থেকে যখনই বউ শুনেছে তার একাউন্টে ৩২ লক্ষ টাকা আছে এবং কুয়েত
থেকে আরও ২০ লক্ষ টাকা এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ৩ লক্ষ টাকা
এসেছে। তখন থেকে তার পরসম্পদলোভী ও মাদকাসক্ত পিতা আমার বাড়ী থেকে তার
মেয়ে ও আমার ছেলের ২ সন্তানকে তার হেফাজতে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আমার বড়
বৌমা তার বাবার বাড়ীতে বসে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে
লিপ্ত হয়েছে। এমনকি একাধিকবার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের ভোমরার
মার্কেট ও জমি দখলের চেষ্টা চালিয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরা সদর
থানায় একাধিকবার শালিসী বৈঠকে বসা হলে সমাধান হয়। কিন্তু আমার ছেলে বৌ তা
না মেনে তার পিতার বাড়ীতে থাকার কারণে তার পিতার কুপরামর্শে বিভিন্ন
অপকর্মে বিভিন্ন লোকের সাহায্যে আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার হীন
চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
জানাচ্ছি।
পূর্ববর্তী পোস্ট