ফিরোজ হোসেন, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, তৎকালিন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার তৎকালিন অফিসার ইনচার্জ মো. ইনামুল হক, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগরদাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনারুল ইসলামের ভাই জিয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে সাতক্ষীরা আমলী ১নং আদালতের বিচারক নয়ন বড়ালের আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানাকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ী ইউনিয়নের কাশেমপপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান আনারুল ইসলামকে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, তৎকালিন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার তৎকালিন অফিসার ইনচার্জ মো. ইনামুল হক সাবেক এসআই হেকমত আলীসহ অন্যান্য আসামীরা কুশাখালী ইউনিয়নের শিকড়ি এলাকার একটি মাঠে নিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যা করে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. আনিসুর রহমান বলেন, আসামিরা দুইটি মাইক্রোবাসে করে আনারুল ইসলামকে তার বাড়ি থেকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে উঠিয়ে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর থানায় নিয়ে যায় এবং সেখানে তাকে নির্যাতন করে দুই হাত এবং দুটি পা পিটিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। পরবর্তীতে তাকে চোখবেঁধে সাতক্ষীরা সদর উপজেলাধীন শিকড়ী ফাকা মাঠে নিয়ে যায় এবং সেখানে গিয়ে সাবেক এসপি মঞ্জুরুল কবীর সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান সদর সার্কেলসহ অন্য আসামিদের পরামর্শে ও সহযোগীতায় গুলি করে হত্যা করে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন ,
সাবেক জিপি গাজী লুৎফর রহমান, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান ও তার ভাই আব্দুল হান্নান, আওয়ামী লীগ নেতা হবিবার রহমান, মাহাবুবুর রহমান, মোঃ হাশেম আলী, তহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদ্য সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এসএম শওকত হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী সহ-সভাপতি গোলাম মোর্শেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু আহমেদ, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, ইয়াহিয়া গাজী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু। এ মামলায় অজ্ঞতানামা আরো ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।