.
জামালউদ্দীন, সাতক্ষীরা থেকে ঃ
২৭২ কিলোমিটার ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরায় রয়েছে অপর সম্ভাবনাময় এক অর্থনৈতিক অঞ্চলের হাতছানি। সাথে পর্যটন নগরী। যোগাযোগ ব্যবস্থা সাতক্ষীরার সাথে পদ্মাসেতুর সরাসরি সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। সাতক্ষীরার দক্ষিণে সুন্দরবন, পুরো পশ্চিম জুড়ে সীমান্ত আর এ সীমান্তের একটি স্থলবন্দর ও একটি নৌবন্দর রয়েছে। পর্যটনখাত ও অর্থনৈতিক খাতকে ত্বরান্বিত করতে হলে মহাসড়কগুলি ৪ লেনের বিকল্প নেই বলে বিষেজ্ঞরা জানিয়েছেন। সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার পন্য আমদানী-রপ্তানী করা হচ্ছে। সেই সাথে কালীগঞ্জ উপজেলার বসন্তপুর নৌবন্দরকে পুনরায় বন্দর ঘোষণা করায় এ অঞ্চলের গুরুত্ব অপরিসীম। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশের সাথে ভারতীয় সীমান্তের যত স্থলবন্দর রয়েছে তার মধ্যে সাতক্ষীরা সীমান্তের ভোমরা স্থলবন্দর ও নৌবন্দর বসন্তপুর আমদানী-রপ্তানীকারকদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করছে। কেননা ভারত থেকে পন্য আমদানী করতে হলে পশ্চিমবঙ্গের খড়গপুর এলাকায় সকল বন্দরের পন্যবাহী পরিবহনকে আসতেই হয়। আর খড়গপুর থেকে ভোমরার দুরত্ব মাত্র ৪৮ কিলোমিটার। অন্যান্য বন্দরের দূরত্ব ১২০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। যেকারণে আমদানী রপ্তানীকারকরা সময় ও পরিবহন খরচ বাচাতে ভোমরা বন্দর বেছে নিয়েছে। একইসাথে বসন্তপুর নৌবন্দর চালু হলে কম ঝুঁকিতে নৌপথে দেশের বিভিন্ন স্থানে পন্য পৌছাতে পারবে আমদানী-রপ্তানীকারকরা। ভোমরা বন্দর থেকে খুলনা জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত সন্ধ্যার পর থেকে ব্যাপক যানজট লেগে থাকে। যেকারণে ব্যবসায়ীরা অন্য বন্দরমুখী হচ্ছে। এবিষয়ে একাধিক ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাতক্ষীরাকে পর্যটন ও অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়তে হলে এ অঞ্চলের মহাসড়কগুলি ৪ লেনে
রূপান্তরিত করতে হবে।