ফিরোজ হোসেন, সাতক্ষীরা ঃ
অন্য যে কোন দিনের ন্যায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ১৪ই মার্চ রবিবারও আসতে শুরু করেছিলো সেবা প্রত্যাশীরা। হ্যাঁ তাদের মধ্যে কেউ রোগী, কেউ রোগীর সহায়ক আবার কেউ এসছেন করোনার টিকা নিতে। সদর হাসপাতাল সাতক্ষীরার দুটি কক্ষ রয়েছে অপেক্ষামানদের জন্য। মিঃ ভোলানাথ বৈদ্য এবং মিঃ তাপস কুমার সরকার এই হাসপাতালেরই দুইজন হেলথ এডুকেটর (স্বাস্থ্য শিক্ষাবিদ) যারা প্রতি দিনের ন্যায় রবিবার সকাল ১১টায় উপস্থিত হয়েছেন তাদের কথার ডালি বা স্বাস্থ্য শিক্ষা নিয়ে। প্রতিদিন আগে থেকে চুড়ান্ত বিষয়ের উপর কমপক্ষে আধাঘন্টা যাবৎ সেশন পরিচালনা করা হয়। স্বাস্থ্য শিক্ষা একটি আর্ট বা শিল্প যেখানে শুধুমাত্র কথা দ্বারা এবং সহায়ক পোষ্টার/ লিফলেট যোগে সেবা প্রত্যাশীদের মধ্যে সৃষ্টির প্রয়াস চলে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির । কথায় আছে, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম যার প্রমান মেলে ডায়রিয়া, বসন্ত বা কালাজ্বর এর মত ভয়ঙ্কর সব ব্যাধির দিকে তাকালে। স্বাস্থ্য শিক্ষার বিষয় নির্ধারনে প্রাধান্য দেয়া হয় রোগের প্রাদূর্ভাব, রোগের ধরন, সমসাময়িক অবস্তান ইত্যাদি। আবার কিছু কিছু বিষয় সবসময়ই আলোচনা হয়। নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর স্বাস্থ্য শিক্ষা সেশনে জবাব দেয়া হয় প্রশ্নেরও যা অনেকটা দ্বিমূখী। এখানে কমপক্ষে একটা বিষয়কে জোর দেয়া হয় যে আপনার স্বাস্থ্যই আপনার সম্পদ আর তা সুস্থ রাখা আমাদের অঙ্গিকার। বর্তমানে যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষায় হয়েছে ডিজিটালাইজড। তাইতো ভার্টিক্যাল স্টান্ড টিভি, এলইডি টিভি, মেঘাফোন যোগে স্বাস্থ্য শিক্ষা দেয়া হয় যা মানুষের নিকট হয়ে উঠছে আধুনিক যুগের আকর্ষনের বিষয়। অন্যান্য স্বাস্থ্য শিক্ষাবিদের ন্যায় এই দুজন স্বাস্থ্য শিক্ষাবিদ স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো’র কল্যানে যতেষ্ট জ্ঞানসম্পন্ন,চৌকষ ও পারদর্শী। নিয়মিত পাঁচ থেকে সাতটি সেশন এর পাশাপাশি ভর্তি রোগীদরে জন্য পিএস সেট যোগে পরিচালিত হয় স্বাস্থ্য শিক্ষা সেশণ এবং সদ্য ছাড়কৃত রোগীদের জন্য বিশেষ পরামর্শ /স্বাস্থ্য শিক্ষা সেশনেরও আয়োজন থাকে। এই সেশনসমূহকে আরও আকর্ষনীয় করতে তাদের সাথে মাঝে মাঝে যুক্ত হন চিকিৎসক ও নার্সবৃন্দ। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি গোল অর্জনে এবং স্বাস্থ্যকর সাতক্ষীরা তথা জাতিগঠনে স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রম পূর্বের ন্যায় বৃহৎ ভুমিকা রেখে বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে উন্নয়নের শিখরে এটাই সকলের প্রত্যাশা।।
পূর্ববর্তী পোস্ট