শাহ জাহান আলী মিটন,সাতক্ষীরা :
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের মালিকানাধীন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সাতক্ষীরা- বুধহাটা-আশাশুনি গোয়ালডাঙ্গা -পাইকগাছা সড়কের উভয় পার্শ্বের বিভিন্ন প্রজাতির মরা, আধামরা, ঝুঁকিপূর্ণ ও শুকনা ২৬৯ টি গাছ [গাছ নাম্বারিং এর ১ হতে ২৬৯ পর্যন্ত মোট ২৬৯ টি গাছ] অপসারণ শুরু হয়েছে।
আজ ০৩ সেপ্টেম্বর – ২০২৪ সকাল ১০টার সময় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৮নং ধুলিহর ইউনিয়নের খাদিজাতুল কোবরা কমপ্লেক্স (রাঃ) ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা সড়ক সংলগ্ন নিউ রানা রাইস মিলের
পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গাছ কাটার মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
যার ০৮ জুলাই ২০২৪ দরপত্র অনুযায়ী প্রাক্কলিত মূল্য ১৮,৬৭,৪৭০ টাকা এবং নির্ধারিত মূল্য ১৯,৪৬,১০০ টাকা।
কাজের মেয়াদকাল দেওয়া হয়ছে ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ হতে ১৬ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত মোট ৪৫ দিন।
দরপত্র কমিটির সিদ্ধান্ত এবং জেলা পরিষধের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাধন কুমার বিশ্বাসের অনুমোদনক্রমে উল্লেখিত গাছ অপসারণের কাজ বাস্তবায়নের জন্য উদ্ধৃত মূল্যের বিপরীতে সমুদয় অর্থ বাবদ ১৯,৪৬,১০০ টাকা ও ১৫%ভ্যাট বাবদ ২,৯১,৯১৫ টাকা উদ্বৃত্ত মূল্যের উপর ২৫% জামানত বাবদ ৪,৮৬,৫২৫ টাকা জমাদান পূর্বক ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন,
মেসার্স মুবীন এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার
মোঃ আরফান কবির।
সাং খয়েরহুদা, জীবননগর, চুয়াডাঙ্গা।
এ সময় স্পটে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষধের তত্ত্বাবধায়ক মো. তারিফুল ইসলাম।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান মো: আরফান হোসেন,পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক ও সাতক্ষীরা জেলা মাজলিসুল মুফাচ্ছেরিনের প্রধান মাওলানা মনিরুল ইসলাম (বেলালী), দৈনিক ক্রাইম বার্তার রিপোর্টার মোস্তাকিম হোসাইন।
স্থানীয় মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. সুরোত আলী গাজী,মো.সাইফুল্লহ গাজী,মো.আলিমউদ্দিন সরদার,মো.মন্টু গাজী,আরিফুল ইসলাম প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
মরা ও ঝুঁকিপূর্ণ এসব গাছ অপসারণ কার্যক্রমের কারনে এলাকাবাসী অনেক খুশি এবং উচ্ছ্বাসিত। এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ সুরোত আলী গাজী বলেন,আমরা রাস্তার এই মরা গাছের ব্যাপারে অনেক ভীতু সন্ত্রাস্ত ছিলাম।ইতিমধ্যে বর্ষার পানিতে ভেজা মরা ডালগুলো মাথার উপরে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক মানুষ।
এলাকাবাসী উচ্ছ্বাসিত হলেও আক্ষেপ প্রকাশ করেন ঠিকাদার মো.আরফান কবির।
তিনি বলেন, চুক্তিপত্র হওয়ার পরেও বিভিন্ন জায়গার গাছের অনেক ডাল কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।#
৩.০৯.২৪